শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

রেকর্ড উৎপাদনেও দ্বিগুণ লবণের দাম, চামড়া সংগ্রহে শঙ্কা

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

দেশে রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদনের পরও ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে বাড়ছে লবণের দাম। সম্ভাবনাময় চামড়া উৎপাদনের প্রধান মৌসুম কোরবানিকে সামনে রেখে একটি সিন্ডিকেট এই দাম বাড়িয়েছে। মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে লবণে মণ প্রতি বাড়ানো হয়েছে ১৭০ টাকা। গত বছরের চেয়ে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।

সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।বর্তমান বাজারে লবণ মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২০০- ১২৫০ টাকায়। একবছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের জুনে এক মণ লবণের দাম ছিল ৮০০-৮৫০ টাকা। দুই মাস আগেও লবণের মণ ছিল ১ হজার থেকে ১ হাজার ৯০ টাকা।

কেজি হিসেবে বর্তমানে লবণ বিক্রি হচ্ছে, ৩০-৩২ টাকা। অথচ, মাস দু’য়েক আগে লবণের কেজি ছিল ২২-২৬ টাকা।

লবণ ব্যবসায়ীদের দাবি, বৃষ্টি ও অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে লবণ প্রক্রিয়াজাতে বাধাগ্রস্থ হওয়ায় বাজারে খোলা লবণের দাম বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের যুক্তিতে নাখোশ লবণ মালিক সমিতি। তারা বলছেন, লবণের বাজার ঊর্ধ্বগতির পেছনে মিল মালিক ও মধ্যস্বত্বভোগীরাই দায়ী।

কারওয়ান বাজারের লবণের পাইকার ও মেসার্স মমতাজ ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো. আব্দুল হান্নান বলেন, বাজারে লবণের ঘাটতি নেই। তবে ঈদুল আজহায় কোরবানি পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে লবণের চাহিদা থাকায় বাজার ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিবছরই কোরবানিকে সামনে রেখে লবণের দাম বাড়ে।

এ বিষয়ে লবণ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিঠু বলেন, ৬২ বছরের ইতিহাসে এবার লবণ উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। তবে দেশের চাহিদার চেয়ে দেড় লাখ টন লবণ কম উৎপাদন হয়েছে। এ জন্য অধিকাংশ কৃষকের হাতে লবণ নেই। একদিকে কম উৎপাদন অন্যদিকে আমদানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় মিল মালিক ও মধ্যস্বত্বভোগীরা লবণ মজুত করে এর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যেহেতু বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের আওতায় কাজ করছি এ জন্য লবণের ঘাটতি ও বাড়তি দামের বিষয়ে বিসিককে জানিয়েছি। এ বিষয় তারাও বেশ সতর্ক রয়েছে। লবণ মজুতের সাথে জড়িত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে তারা শনাক্ত করেছে বলে আমাদের জানিয়েছেন। কিন্তু কবে নাগাদ লবণের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে তা বলা মুশকিল।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) এর তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে দেশে ২২ লাখ ৩৩ হাজার টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। দেশের লবণের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টনের একটু বেশি। উৎপাদন হিসেবে চাহিদার থেকে প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ টন লবণের ঘাটতি রয়েছে।

কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান  বলেন, লবণের দাম নিয়ে মিল মালিকরা কারসাজি করছেন। চামড়ায় ব্যবহার উপযোগী খোলা মোটা লবণের বস্তা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৭০০-৭৫০ টাকায়। এখন সেই লবণই ১২৫০-১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ রেকর্ড উৎপাদনের বছরে লবণের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এবারে প্রতি স্কয়ার ফিট চামড়ার মূল্য ৫৫ টাকা। লবণের দামসহ প্রতি স্কয়ার ফিট চামড়া দাম পড়বে ৮৫-৯০ টাকা। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে চামড়া শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION